Monday, April 19, 2010

গল্পটা এখনও চলছে......

আমি গল্প দেখি। লেখি না, লেখতে ভাল লাগে না। লেখা তো লেখকদের কাজ। আমার কাজ দেখে যাওয়া এইসব থেকে শিক্ষা নেয়া। নতুন নতুন মানুষের নতুন নতুন গল্প। সবগুলোই কেমন জানি অন্যরকম। একটা সাথে অন্যটার কোন মিল নাই। এই গুলো সবই জীবনের গল্প।
মানুষের জীবনে ঘটে যাওয়া গল্পগুলো থেকে আমি শুধু শিক্ষা নিতে চাই। সেই শিক্ষা নিজের জীবনে বাস্তবায়ন। অন্য কোন কিছু না।

আমার কিছু মানুষকে দেখলে গা জ্বলে উঠে। দেখতে পাচ্ছে এখানে অন্যায় হচ্ছে তারপরও বাধা দিবে না।তার একটা কথাতেই হয় তো মানুষটি বদলে যেতে পারে। কিন্তু বলবে তো নাই। তারপর যে অন্যায়কারীকে বাধা দিতে যাবে তাদের উপর চরাও হবে। যে বাধা দিতে গিয়েছিল তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ। অন্যায়কারীর পক্ষ নেয়ার জন্য আমি মনে করি, ওই লোকটির আগে শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। আরে, অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে সবই একই অপরাধে অপরাধী।

আমাদের দেশে প্রতি পাঁচ বছরে একবার করে সরকার চেঞ্জ হয় । এই বার বিএনপি তো ওইবার আওয়ামীলীগ। সরকারের পদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ হল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রাষ্ট্রের যাবতীয় জক্কি ঝামেলা পোহাতে হয়। এত এত কাজ করেও কোন ভাবেই তিনি জনগণের মন পান না। কারণ তিনি আইন শৃংখলা ঠিক রাখতে চাইলেও দলের অন্যান্য নেতারা সেটা রাখতে দেন না। ফলাফল আর কি, দেশের আইন শৃংখলার মারাত্মক অবনতি। দলের স্বার্থে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতেই হয় --দেশের আইন শৃংখলা অনেক অনেক ভাল। যদিও ভয়ে থাকেন যদি আগামীবার ক্ষমতায় না আসতে পারি আমাকে সোজা জেল এ যেতে হবে।তখনো মন্ত্রীকে বুঝানো হয় আগামী দশ বছর কি আগামী পঞ্চাশ বছরেও আমাদের সামনে কেউ দাড়াতে পারবে না।

কিছুদিন আগে দেখলাম, নিরীহ ছেলেদের ধরে ধরে জেল খানায় ঢুকানো হচ্ছে। আহারে বেচারা রা!!! যারা মানুষের সাথে হাসিমুখে কথা বলে, নিয়মিত নামাজ পড়ে, চাদাবাজি, মাস্তানী করে না। তাদেরকে জেলের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ঢুকানো হচ্ছে। তাদের একটাই অপরাধ তারা একটি ইসলামী দলের সমর্থন করে।

আমি এই অন্যায়টির পক্ষে অনেক অনেক কথা শুনেছি মানুষগুলোর কাছ থেকে। যারা এই ধরনের একটা অন্যায় কাজকে সহায়তা করেই ক্ষান্ত হননি। যারা এর বিপক্ষে কথা বলেছেন তাদেরকেও বিভিন্ন ভাবে গালমন্দ করেছেন।

আমি সেই সব অন্যায়কারী আর অন্যায়ের সাহায্যকারী শাস্তি টা নিজের চোখে দেখতে চাই.... আপনারাও দেখবেন আশা করি.........